অর্থনীতিক্যারিয়ার ও চাকরি

হাওর, দ্বীপ ও চরে কর্মরত ব্যাংকাররা পাবেন বাড়তি ভাতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: সরকার ঘোষিত হাওর, দ্বীপ ও চর উপজেলায় কর্মরত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের কর্মকর্তারা এখন থেকে আলাদা ভাতা পাবেন। গ্রেড ভেদে প্রতি মাসে ভাতার পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন ১ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হাওর, দ্বীপ ও চর উপজেলায় অবস্থিত রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের স্থায়ী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী, ৭ম ও তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তার ভাতার পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা। ৮ম গ্রেডের কর্মকর্তারা পাবেন ৪ হাজার ৬০০ টাকা, ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তারা পাবেন ৪ হাজার ৪০০ টাকা। ২০তম গ্রেডের কর্মকর্তারা পাবেন মাসিক ১ হাজার ৬৫০ টাকা ভাতা।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে পার্বত্য এলাকাবহির্ভূত ১৬ উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ ও চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের মোহাম্মদ শামস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারি নির্দেশনা পেয়েছি। এ সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হবে। এতে চর, হাওর ও দ্বীপ এলাকার রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে যারা কাজ করেন, তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।’

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে যোগাযোগব্যবস্থা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে পার্বত্য এলাকাবহির্ভূত ১৬ উপজেলাকে হাওর, দ্বীপ ও চর উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৬ উপজেলা হলো কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম; চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, নোয়াখালীর হাতিয়া, সিরাজগঞ্জের চৌহালী, কুড়িগ্রামের রৌমারী ও চর রাজীবপুর, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ভোলার মনপুরা, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা, শাল্লা ও দোয়ারাবাজার; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রজ্ঞাপনের ফলে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো চলতি মাস থেকে এই ভাতা পাবে। এর ফলে বেসরকারি ব্যাংকগুলো হাওর চরের কর্মকর্তাদের ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

আরো পড়ুন: 

নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের বাজারজাত করতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *