সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ চুল। তাই নারী কিংবা পুরুষ সবাই চুলের যত্ন নেয়। চুলের সমস্যা মিটিয়ে সুন্দর করতে আমলকীর ভূমিকা অনেক। ‘ত্রিফলা’-র মধ্যে অন্যতম ফলটি আমাদের চুলকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়াসহ নানা সমস্যা দূর হয় আমলকীতে
চুল লম্বা হয় না! চুল পড়ে যাচ্ছে! আজকাল অনেকেরই এ অভিযোগ। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে আমলকীর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও ভিটামিন ‘সি’। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল লম্বা করতে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। আমলকীতে থাকা নিউট্রিয়েন্টস, চুলে কোলাজেন নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
আমলকী যেভাবে চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করে—
চুল পড়া কমায়
প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এর চেয়েও বেশি চুল পড়ে, তা হলে আমলকীর রস কাজে আসবে।
নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
আমলকীতে থাকা কোলাজেন নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
চুল মজবুত করে
ত্বক এবং চুলের যত্নে ভিটামিন ‘সি’ অপরিহার্য। এই ভিটামিন সি-র উৎস হল আমলকী। কাঁচা আমলকী খেলে বা আমলকীর রস মাথায় মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
অকালে পেকে যাওয়া রোধ করে
আমলকী দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা চুল অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক।
মাথার ত্বক পরিষ্কার করে
চুলের যে কোনও সমস্যা মূলে রয়েছে খুশকি। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে বা খুশকি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে। নতুন চুল গজাবেও না। তাই সবার আগে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। আমলকীর রস মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায় এবং খুসকি রোধ করে।