শনিবার, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
spot_img
Homeজাতীয়আসছে ধেয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি

আসছে ধেয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি

আসছে ধেয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি

আসছে ধেয়ে ঘূর্ণিঝড় অশনি আর নিম্নচাপটি যাচ্ছে উত্তর-পশ্চিমে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গতকাল শনিবার একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

এটি আরো ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অর্থাৎ ভারতের ওড়িশার দিকে অগ্রসর হতে পারে। একই সঙ্গে আজ রবিবার এটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। গভীর নিম্নচাপের পরবর্তী রূপই হলো ঘূর্ণিঝড়।

বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে এটি ভারতের ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। আর উপকূলীয় এলাকায় এর প্রভাব পড়বে বেশি। সেখানে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গতকাল এক সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গতরাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিম্নচাপটি এখনো দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে কিছুটা সরছে। তবে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলে রবিবার এর গতিপথ আরো পরিষ্কার বোঝা যাবে। ’

আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের সতর্কবার্তায় বলছে, নিম্নচাপটি গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে—রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষ দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বৃষ্টি হলেও দেশের একাধিক এলাকায় তাপপ্রবাহও বয়ে যাচ্ছে। রাঙামাটি, সৈয়দপুর, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিল বগুড়ায় ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে ৪৮ মিলিমিটার।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments